
হাওড়ায় সাংসদ দিলেন সম্প্রীতির বার্তা।
-----------------------------------------------------
দেশের জাতি বিভাজনের আগুনে
হাওড়ায় সাংসদ দিলেন সম্প্রীতির বার্তা।
-----------------------------------------------------
দেশের জাতি বিভাজনের আগুনে প্রথমেই জল ঢেলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী। কয়েকদিন যাবৎ বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মুসলিম ধর্ম নিয়ে আল টপকা মন্তব্যে ঝড় উঠেছিল বিশ্ব দুনিয়ায়। কিন্তু এই বক্তব্য ভারতবর্ষের মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্দরে যে মূল বিরাগভাজনের বিষয় ছিল তা কয়েক দিনের দাঙ্গায় ভুল প্রমাণিত। আসল বিষয় এই সুযোগে ভারতবর্ষে উগ্রবাদী সংগঠন চেয়েছিল জনজীবন তছনছের ছক পরিপূর্ণ করা। নূপুর শর্মার অছিলায় দেশে জাতিদাঙ্গা লাগানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এবং এই বার্তা দেশের রাজ্যগুলিতে সুপরিকল্পিত ভাবে পৌঁছেছিল এবং যার মধ্যে মিশেছিল কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের রং। আমাদের ভারতবর্ষ চিরকাল সম্প্রীতি ও ভাইচারা পছন্দ করেন। সব জাতি মিলেমিশে থাকায় বিশ্বাসী। আর এই আবহে ভারত সরকার সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের শক্ত হাতে রাজধর্ম পালন করেছেন। শুধু তাই নয় হাওড়ার পুলিশ ইন্টারনেট বন্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে পাড়ায় পাড়ায় টহল দিয়ে অশান্তি ঠান্ডা করেছেন। গ্রেপ্তার হয়েছে প্রচুর দাঙ্গাকারি। চিহ্নিত হয়েছে দেশদ্রোহীরা। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যের জনজীবনে শান্তির বার্তা পাঠাতে প্রথম উদ্যোগী হলেন হাওড়ার সাংসদ ও বিখ্যাত ফুটবলার মাননীয় প্রসূন ব্যানার্জী। তিনি হাওড়ার পিলখানায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় কে আবারও জুড়ে দিলেন রাখি বন্ধনের মাধ্যমে একি মানবজাতির শৃঙ্খলায়। প্রতিটি জাতির একটাই ধর্ম হোক তা "মানবধর্ম"। আর জাত হোক "মনুষত্বের"। আর আজ মাননীয় শ্রী প্রসূন ব্যানার্জীর অনুষ্ঠানে বহু সমাগম ছিল হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের। একে অপরের হাতে রাখি বেঁধে ও মিষ্টে মুখে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে বিশ্ব শান্তির বার্তা অবশ্যই পৌঁছালো বিশ্ব মানবতার ঘরে ঘরে। আর এই এক সম্প্রীতির দারুণ নজির সৃষ্টি করলেন হাওড়ার সাংসদ বিখ্যাত ফুটবলার সবার প্রিয় মানুষ মাননীয় শ্রী প্রসূন ব্যানার্জী।