logo

বিপ্লবী ভগৎসিংহ এর 0 বিজড়িত বাড়িটি এই বাংলায়,যা আজ অবহেলিত ।।

আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত খন্ডঘোষ সম্প্রদায় ব্লকের উয়ারী গ্রামে পৌঁছান, তাহলে সেখানকার বাতাসে কান পাতলে আজও শুনতে পাবেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ। নিজের অজান্তেই মনটা চলে যাবে 1900 সালের প্রথমদিকের সময়ে, যখন গোটা ভারত জ্বলছে স্বদেশী আন্দোলনের আগুনে। কিন্তু বেছে বেছে এই গ্রামের কথাই আজ আমরা উল্লেখ করছি কেন? তা জানতে হলে পড়তে হবে বাকি লেখাটা।

কলকাতা শহর এবং উয়ারী গ্রামের সাথে বিপ্লবী ভগৎ সিং এর গভীর যোগসূত্র আছে। ভগৎ সিং, 1907 সালের 28 সেপ্টেম্বর মাহিলপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, 1923 সালে মাধ্যমিক পাস করার পর 1924 সালে কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি শহরের গোপাল মোটর ট্রেনিং স্কুলে ড্রাইভিং শিখেছিলেন এবং 1933 সালে কারাবন্দী হওয়ার আগে পর্যন্ত 'প্রাইভেট মাস্টারদের অধীনে' বাস ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেছিলেন।

এবার আসা যাক, উয়ারী গ্রামের প্রসঙ্গে। এই প্রত্যন্ত গ্রামে ছিল বাংলার কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভগৎ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বটুকেশ্বর দত্তের পৈতৃক বাসভবন।
19 ডিসেম্বর, 1928, যখন ভগৎ সিং এবং শিবরাম রাজগুরু ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যা করে পলাতক হন, তখন বটুকেশ্বর দত্তের পরামর্শে ভগৎ সিং উয়ারী গ্রামে আসেন দত্তের পৈতৃক বাসভবনে আশ্রয় নেন।

কিন্তু শীঘ্রই তাঁরা অনুভব করেছিলেন যে, ভগৎ সিংয়ের জন্য এই আশ্রয় নিরাপদ নয়, কারণ ব্রিটিশ পুলিশ এবং গুপ্তচরেরা ইতিমধ্যেই এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বটুকেশ্বর ভগৎ সিংকে একই এলাকার একটি ঘোষ পরিবারের মালিকানাধীন বাড়িতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেখানে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষ ছিল, বাইরে থেকে কোনভাবেই যার হদিশ পাওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ কক্ষটির প্রবেশদ্বারটি একটি কাঠের শোকেস দ্বারা আবৃত ছিল।

ভগৎ সিংকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে, বটুকেশ্বর ঘোষ পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেন; বলাই বাহুল্য ওই পরিবারটি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ছিলেন।

পরবর্তী 15 দিনের জন্য, সেই ভূগর্ভস্থ কক্ষটিই ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্তের আশ্রয়স্থল ছিল। কথিত আছে যে, কেন্দ্রীয় পরিষদ ভবনে বোমা হামলার পরিকল্পনার একটি বড় অংশ এই দুই কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকার সময় আলোচনা করেছিলেন।
এতো বড় সহযোগিতা সত্ত্বেও, ঘোষ পরিবারের ভূমিকা এবং বাড়ির ভূগর্ভস্থ কক্ষ স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে অজানাই থেকে গেছে। বাড়িটিও আজ প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। প্লাস্টার খসে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ইঁটের পাঁজর।
এই ঐতিহাসিক বাড়িটি সংগ্রহশালা করার জন্য আমরা Aima Media er সদস্য গণ সরকারের কাছে আবেদন জানাই।
পরিবেশক:- রাজেশ চৌধুরী
ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:-The better India.

2
218 views