
বাংলাদেশে সংকটের প্রহর: তিন ফ্রন্টে লড়াই ও ক্ষমতার টানাপোড়েন
আমরা জানি, যুদ্ধ জেতা যত কঠিন কাজ, তার চেয়েও কঠিন কাজ হলো জেতা ভূমিতে দখল বজায় রাখা। কীভাবে আমেরিকা এখন বাংলাদেশে মারাত্মক সংগ্রাম করছে। বছরের পর বছর ধরে পরিকল্পনা ও বিপুল অর্থ ব্যয় করে আমেরিকা শেষমেশ ২০২৪ সালে বাংলাদেশে এক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল। কিন্তু এখন আমেরিকা বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারছে না; বাংলাদেশ এখন আমেরিকার জন্য একটি জ্বলন্ত অঙ্গারের মতো হয়ে উঠেছে, যা আমেরিকার হাতও পুড়িয়ে দিচ্ছে।
রিপোর্ট এসেছে যে বাংলাদেশ এখন বড় সংকটে রয়েছে। কারণ, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে শুধু তাদের কার্যকলাপ বাড়িয়েই দেয়নি, বরং এমনও রিপোর্ট এসেছে যে তারা বাংলাদেশের উপর একটি ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই খবর কতটা গুরুতর, তা বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই খবর নিয়ে হইচই পড়ে গেছে, তবে তার চেয়েও বড় কথা হলো — বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া আমেরিকার ক্ষমতার সিংহাসনও নড়বড়ে হয়ে গেছে।
আমেরিকা তার সবচেয়ে শক্তিশালী জেনারেলকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। কতটা শক্তিশালী? এই জেনারেল পাঁচটি যুদ্ধ লড়েছে — তিনটি আফগানিস্তানে এবং দুটি ইরাকে। শুধু তাই নয়, তিনি আমেরিকান প্যাসিফিক কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল। আমেরিকার পুরো ভারত মহাসাগর থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত, এমনকি জাপান পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা সামরিক বাহিনীর কমান্ডের ভার তার হাতে। এত শক্তিশালী একজন ব্যক্তি এখন ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের ইউনুস সরকারকে কোনোভাবে স্থিতিশীল করা এবং নিশ্চিত করা যে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো সংঘর্ষ না হয়।
আগামী এক সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য "আর বা পার" এর সময় হতে চলেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিজের সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সেনা মোতায়েন বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে, আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে ও সেনা মোতায়েন করছে।
তবে শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাই নয়, বাংলাদেশে একটি তৃতীয় ফ্রন্টেও নীরব লড়াই চলছে — অর্থনীতির পতন। বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটাই ভেঙে পড়ছে যে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, যা তাদের আবারও রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ এখন একসঙ্গে তিনটি ফ্রন্টে লড়াই করছে।
এতে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আগে যখন বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন কোথাও না কোথাও ভারতকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। তখন অনেকেই খুশি হয়েছিলেন, ভেবেছিলেন হাসিনা সরকার পড়ে গেছে এবং ভারতের প্রভাব শেষ। কিন্তু গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের জনগণ উপলব্ধি করতে শুরু করেছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা কতটা জরুরি ছিল। তার শাসনকালে না আমেরিকা, না চীন — কেউই বাংলাদেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারত। দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি করছিল, আর মৌলবাদী শক্তিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, আমেরিকা ও পাকিস্তানের প্ররোচনায় এসে বাংলাদেশের জনগণ যা করেছে, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে মনে রাখবেন — আগামী এক সপ্তাহে বাংলাদেশে বড় কিছু ঘটবেই!
--------------------------
#ASocialTvOfficial#SocialMediaActivist #TrendingTopics#BangladeshCrisis #Geopolitics #ArakanArmy #USInvolvement #EconomicCollapse #MilitaryTension #NextWeekDecides