logo

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বেহাল দশা: প্রথম বর্ষার জলেই কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভ

চিত্তরঞ্জন , ২১ মে ২০২৫: দেশের গর্ব চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা (CLW) আজ চরম অব্যবস্থা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার শিকার। বেসরকারিকরণের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে কারখানাটির পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ প্রথম বর্ষার বৃষ্টিতেই কারখানার একাধিক শেডের ছাদ চুঁইয়ে জল ঢুকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এর ফলে কারখানার কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বিকেল থেকেই চিত্তরঞ্জনে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। আর এই প্রথম বৃষ্টিতেই কারখানার বেহাল দশা প্রকাশ্যে চলে আসে। নবনির্মিত ছাদ থেকেও জল চুঁইয়ে কারখানার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে ২১, ২০, ২৩ এবং ১৯ নং শপের প্যানেল বিভাগে বৃষ্টির জল ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও মূল্যবান সামগ্রী জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। কর্মীদের অভিযোগ, বহু কাজ এখন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই বেসরকারি সংস্থাগুলির নিম্নমানের কাজের কারণেই আজ কারখানার এই করুণ পরিণতি।
কারখানার কর্মীদের একাংশের মতে, রেল ইঞ্জিন কারখানার বেসরকারিকরণই এই অবস্থার জন্য দায়ী। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কাজ দেওয়ার ফলে একদিকে যেমন কাজের মান খারাপ হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে কারখানার নিজস্ব কর্মীরাও কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কারখানার পরিকাঠামো দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে, যার ফলস্বরূপ সামান্য বৃষ্টিতেই এত বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
কারখানার পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন টাউনশিপের বাসিন্দারাও দীর্ঘদিন ধরে জল ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছেন। সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। পানীয় জলের সমস্যা তো নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, এই সমস্যাগুলি কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে না। তাঁদের জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা, যেমন জেনারেটর, সবসময়ই মজুত থাকে। সাধারণ কর্মীদের এবং টাউনশিপের বাসিন্দাদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষোভ বাড়ছে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার বেহাল দশা এবং এর কারণ অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

49
3147 views