logo

মাইসোরের রিফাহ তাসকিন: ছোট বয়সেই বিশ্বরেকর্ডের আসনে। গাড়ি চালনায় বিশ্বরেকর্ডধারী এই কিশোরীর স্বপ্ন ফাইটার পাইলট ও পেশাদার রেসার হওয়া।

ভারতের কর্ণাটকের ঐতিহ্যবাহী শহর মাইসোর থেকে উঠে এসেছে এক বিস্ময়কন্যা - রিফাহ তাসকিন। বয়সে তরুণী হলেও তাঁর কীর্তি ইতোমধ্যেই তাঁকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
শৈশব থেকেই রিফাহর গাড়ির প্রতি রয়েছে প্রবল টান। মাত্র ৭ বছর বয়সে তিনি চালিয়ে ফেলেন নানা ধরনের যানবাহন-মোটরসাইকেল, কার, অ্যাম্বুলেন্স, লরি, এমনকি ১০-চাকাওয়ালা ট্রাকও। মাইসোরের ঈদগাহ ময়দান ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি একসাথে একাধিক মাল্টি-হুইলার গাড়ি চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
এই কৃতিত্বের জন্য তাঁর নাম ওঠে গোল্ডেন বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ। ছোট্ট রিফাহর এমন সাফল্য স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
ক্রমে সাফল্যের পালকও যুক্ত হতে থাকে। তিনি নাম লেখান India Book of Records এবং Asia Book of Records-এ “Maximum Vehicles Driven by a Girl” শিরোনামে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে মাইসোরের HUDA Public School-এ তিনি একসাথে ৮টি ভিন্ন ধরনের যান চালান—২-চাকার থেকে শুরু করে ৪-চাকার, ট্রাক, ট্রাক্টর, এমনকি এক্সকাভেটরও।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রিফাহ পেয়েছেন স্বীকৃতি। নিজের পরিচয়ে তিনি গর্বের সাথে উল্লেখ করেন- “1× World Champion, 1× 50 Drift Champion, Brand Ambassador for MCC and Tb Coach.”
রিফাহ পড়াশোনা করেছেন সেন্ট জোসেফ স্কুল, ব্যানিমান্টাপে। তাঁর বাবা তাজউদ্দিন নিজেও একজন রেসার এবং ছোটবেলা থেকেই মেয়েকে সাহস জুগিয়ে আসছেন। বাবার স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণায় রিফাহ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের প্রতি বিশেষ টান অনুভব করেন, যা তাঁকে আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনায় এনেছে।
ভবিষ্যৎ নিয়ে রিফাহর স্বপ্ন অনেক বড়। একদিকে তিনি যেমন ফাইটার পাইলট হওয়ার আশা করছেন, অন্যদিকে চান পেশাদার কার রেসার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে।

আজকের দিনে রিফাহ তাসকিন শুধু মাইসোর বা ভারতের নয়, বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। বয়স কোনো বাধা নয় - এই বার্তাটিই তিনি নিজের কর্মে প্রমাণ করেছেন।

1
234 views