logo

মহাষষ্ঠীতে জমকালো উদ্বোধন, একসাথে মেহেমুদ খাঁন ও আলোক কুমার মাঝি।জমালপুরে একের পর এক পুজো উদ্বোধনে তৃণমূল নেতাদের সম্প্রীতির বার্তা

মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই জমালপুর ব্লকে শুরু হয়েছে পুজো উদ্বোধনের ধুম।
তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও বিধায়ক আলোক কুমার মাঝি একসাথে একের পর এক পুজো প্যান্ডেলে ফিতে কেটে দিলেন।
দু’জনের উপস্থিতিতে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা।

একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও মেহেমুদ খাঁন দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন – যা বাংলার ঐতিহ্য ও গঙ্গাজমুনা সংস্কৃতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আলোক কুমার মাঝিও বলেন, “বাংলার মাটির আসল শক্তি তার ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব।”

প্রথম দফায় উদ্বোধন হয় নাখরা সর্বজনীন, শ্রীকৃষ্ণপুর সর্বজনীন, জোতশ্রীরাম সর্বজনীন, জোতশ্রীরাম ধীবরপাড়া সর্বজনীন, জোতদক্ষিণ সর্বজনীন ও শাহোসেনপুর সর্বজনীনে।
দ্বিতীয় দফায় টাঙ্গাবেড়িয়া, কোলুপুকুর, জৌগ্রাম, ইটলা, চকদিঘী, শুঁড়ে কালনা, নেতাজি অ্যাথলেটিক ক্লাব ও কিশলয় সমিতির পুজো উদ্বোধন করা হয়।

মেহেমুদ খাঁন বলেন, “আজ গ্রামের দুর্গাপুজো শহরের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্য সরকারের ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার অনুদানে প্যান্ডেল, প্রতিমা, আলোকসজ্জা – সবকিছুতেই এসেছে নজরকাড়া উন্নতি।”

আলোক কুমার মাঝি বলেন, “বাংলার মাটির আসল শক্তি ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব। উৎসব আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বাঁধে – এই বার্তাই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।”

ইতিমধ্যেই পঞ্চমী থেকেই এলাকাজুড়ে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। মহাষষ্ঠীতে সেই ভিড় আরও বেড়েছে। নেতাজি ক্লাব, হালারা সর্বজনীন, কাঠুরিয়াপাড়া, কাশরা সর্বজনীন সহ বিভিন্ন মণ্ডপে ঠাকুর দেখার লম্বা লাইন পড়েছে।

90
3697 views