
“একজন মফস্বলের ছেলেও যদি নিজের টিম নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে, তাহলে সিনেমার ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হবে” — বাবাই সেন #Babai Sen.
কলকাতা, ৫ অক্টোবর ২০২৫:
বাংলা চলচ্চিত্রের তরুণ পরিচালক বাবাই সেন, যিনি ইতিমধ্যেই তার ব্যতিক্রমী গল্পবলন ও আবেগঘন সিনেমার জন্য দর্শকদের কাছে পরিচিত, এবার খুলে বললেন নিজের মনের কথা।
তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মিহিরা’ রিলিজের অপেক্ষায়, আর এর পাশাপাশি আরও দুটি চলচ্চিত্র প্রস্তুত— যা খুব শীঘ্রই অল ইন্ডিয়া স্তরে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে।
“এই সাফল্য কোনো একার কাজ নয়,” বলেন বাবাই সেন।
> “এর পেছনে আছে একটা বড় টিম, কিছু মানুষের অদৃশ্য সহযোগিতা আর এমন কিছু ভালোবাসা, যা আমাকে প্রতিদিন নতুন করে লড়াই করার সাহস দেয়। আমি একজন মফস্বলের ছেলে, যার পরিবারে সিনেমার সঙ্গে কোনো যোগ ছিল না। কিন্তু কিছু বন্ধু, কিছু টিমমেট আর কিছু স্বপ্নবাজ মানুষ না থাকলে আজ এই পথটা এতদূর আসা সম্ভব হতো না।”
---
🎬 নভেম্বরে নতুন সিনেমা: বাবা-মেয়ের সম্পর্কের অন্যরকম গল্প
বাবাই সেনের পরবর্তী প্রকল্প নভেম্বর মাসে শুটিং ফ্লোরে যাচ্ছে।
এই ছবিটি একেবারে ভিন্ন ধারার গল্প, যেখানে এক বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ফুটে উঠবে।
গল্পে থাকছে বলিউড ও টলিউডের পরিচিত এবং নতুন মুখের শিল্পীরা।
পরিচালকের ভাষায়—
> “এই গল্প শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, এটা আবেগের এক নতুন ভাষা। আমরা চাই দর্শক শুধু গল্প না দেখুক, গল্পটা অনুভব করুক।”
---
🌟 স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা — এক যাত্রার গল্প
ছোটবেলায় যখন বাড়িতে পত্রিকা আসত, অন্যদের খবর দেখে বাবাই ভাবতেন—
> “একদিন যদি নিজের নামটা ওখানে দেখতে পাই!”
আজ সেই স্বপ্নই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
নিজের টিমের কাজ এখন বিভিন্ন বড় সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশ পাচ্ছে— যা তার কাছে কেবল সাফল্য নয়, বরং এক আবেগের পরিপূর্ণতা।
বাবাই আরও বলেন—
> “আমি জানি, একজন মানুষের ভালো-মন্দ দুই-ই থাকে। আমারও অনেক ভুল আছে, তবুও যারা পাশে থেকেছে, তারা আমাকে বুঝে নিয়েছে। আমি চাই, সবাই আমার ভুলগুলোকে ক্ষমা করুক, পাশে থাকুক— যেন আমরা সবাই মিলে বাংলা সিনেমাকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারি।”
---
❤️ শেষ কথা
বাবাই সেনের কথায় স্পষ্ট— সিনেমা তার কাছে শুধুই পেশা নয়, এক যাত্রা, এক সম্পর্ক।
তিনি আশা করেন, বাংলা সিনেমা এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দক্ষিণ ভারত ও বলিউডের দর্শকের মনেও জায়গা করে নেবে।
“যতদিন মানুষের মনে আবেগ আছে, ততদিন বাংলা সিনেমা বেঁচে থাকবে।
আমরা শুধু চাই, সেই আবেগের একটা অংশ হতে।”